তিন দিনের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের আত্মহত্যা, অভাবকে দায়ী করছেন বাবা

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩, ১২:৩২ এএম

তিন দিনের ব্যবধানে দুই ভাইয়ের আত্মহত্যা, অভাবকে দায়ী করছেন বাবা

এক ভাইয়ের আত্মহত্যার তিন দিন পর আত্মহত্যা করেছে আরেক ভাই। গতকাল বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নিজ ঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় মঞ্জুরুল ইসলাম (১৮), এর তিন দিন আগে গত সোমবার তাঁর বড় ভাই তারা মিয়ার (২২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনা ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের তালুটিয়া গ্রামের। নিহত দুই ভাই এই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে।

ভালুকা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, "আবুল কালাম পেশায় একজন ভিক্ষুক। আবুল কালামের প্রথম স্ত্রী পারিবারিক কলহের জেরে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করলে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রথম স্ত্রীর এক ছেলে ও দুই মেয়ে। দ্বিতীয় স্ত্রীর দুই ছেলে ও তিন মেয়ে। নিহতের মধ্যে তারা মিয়া প্রথম স্ত্রীর সন্তান এবং মঞ্জুরুল ইসলাম দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান। তারা মিয়া প্রায় এক বছর নিখোঁজ ছিলেন। নিখোঁজের সময় তারা মিয়া চট্টগ্রামে ছিলেন। আনুমানিক পাঁচ মাস আগে বাড়িতে ফিরে আসেন তিনি। তারা মিয়া বেকার ছিলেন। হতাশাগ্রস্ত হয়ে গত সোমবার বাড়ির পাশে জঙ্গলে গাছের ডালে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ তারা মিয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের পর দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। ওই ঘটনায় ভালুকা থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়।"

দুই সন্তান হারানো আবুল কালাম বলেন, "টেনেটুনে সংসার চলে। সংসারে মানুষ বেশি। চাহিদা অনুযায়ী কাউকে কিছু দিতে পারিনি। যার দরুন মান-অভিমানে একে একে সবাই চলে যাচ্ছে। অভাবের পাশাপাশি সংসার বড় হওয়ায় অশান্তি প্রতিনিয়ত লেগে থাকে। এখন নিজে মৃত্যুর প্রহর গুনছি"।

ওসি বলেন, "গতকাল বাবার কাছে টাকা চান মঞ্জ্রুল ইসলাম। কিন্তু অভাবের সংসার হওয়ায় টাকা দিতে পারেননি বাবা। এসব নিয়ে বাবার সঙ্গে মনোমালিন্য হয় মঞ্জুরুল ইসলামের। পরে মঞ্জুরুল ঘরের দরজা আটকে আড়ার সঙ্গে ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন"।

পরিবারের লোকজন থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে। পরে নিহতের স্বজনেরা মরদেহ বিনা ময়নাতদন্তে নেওয়ার আবেদন করলে পুলিশ মরদেহ হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে বলে জানান ওসি।

Link copied!